হযরত শাহ জালালের আমলে যারা ইসলাম ধর্ম প্রচারে আসছিলেন তাদের ভিতর শহীদ চাঁদ দেওয়ান অন্যতম। এই অঞ্চল ছিল হিন্দু অঞ্চল । উনি এখানে আস্তানা তৈরি করেন । তার নাম অনুযায়ী গ্রামটির নাম রাখা হয় চাঁদপুর । কথিত আছে যে, উনি ধর্ম প্রচারে এসে এখানে শহীদ হন । এবং তার কবরটা এখানেই দেওয়া হয়। সেই থেকে এই স্থানটির নাম হয় শাহ্ সুফী আওলিয়া সৈয়দ চাঁদ দেওয়ান সাহেবের মাজার শরীপ নামেই পরিচিত আছে। পুরাকাল থেকেই অনেক লোকজন এই মাজারের মাটি নিয়ে অনেকেরই অনেক রকম রোগ সেরে গেছে। এবং যে কোন সমস্যার ফল পেয়েছে। তাই মাজারটিকে সবাই সম্মান করে এবং মাজারে মানত করে মানত দিয়ে সফল হয়েছে। মাজারটি সম্পর্কে অনেক আলোকিত ঘটনা জানা যায় ।এই অঞ্চলের লোকজন মাজারটিকে অনেক ভক্তি করে ও সম্মানের চোখে দেখে। শাহ্ সুফী আওলিয়া সৈয়দ চাঁদ দেওয়ান সাহেবের কবরের উপর একটা বড় বট গাছ ছিল । এবং মূল গাছটি মারা যাওযার পর চারা বট গাছ হয় এবং বর্তমানে চারা গাছ বেশ বড় হয়েছে।এক সময় অনেক লোকজন তার মাজারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কবরটিকে সালাম ভক্তি করত, তার কবর জিযারত করত। এক সময় কিচু বেদেরা মাজারের পাশ দিয়ে যাওযার সময় মাজারে কিছু কাঠি খড়ি নিয়ে গিয়েছিল । এবং পান্টি গ্রামের আস্তানায় গিয়ে সেই কাঠি দিয়ে ভাত রান্না করে খাওযার পর তাদের সবার ডায়রিয়া হয়েছিল । তারপর কাঠ খড়ি মাজারে রেখে ক্ষমা চেয়ে মাজারে ভক্তি সম্মান করার পর তারা সবাই ভাল হয়ে গিয়েছিল। আরো শোনা যায় একজন ব্যক্তি পান্টি থেকে আসতে তার মাজারের পাশ দিয়ে আসার সময় তার মাজারটিকে সম্মান না করায় পরে তার স্বপ্নে শাহ্ সুফী আওলিয়া সৈয়দ চাঁদ দেওয়ান সাহেব বলেন ”তুই আমার মাজারের কোন সম্মান করলি না” । তারপর সেই ব্যক্তি মাজারে এসে মাজারটিকে সালাম ভক্তি করে এবং মাজারে কিছু পয়সা দেয়। সেই সময় থেকে কেউ এই মাজারের কোন গাছ ,কাঠ, খড়ি এবং মাজারের কোন কিছু নিত না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস